ছবি সংগৃহীত
বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরতে হবে। আন্তর্জাতিক আদালতে তার বিচার হবে।
আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী নগরীর চন্দ্রিমা আবাসিক এলাকায় নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে তারেক রহমানের দেশে ফেরার সম্ভাবনার বিষয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মিনু বলেন, তিনি অবশ্যই ফিরবেন। তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। যারা বাইরে আছেন সবাই ফিরবেন। যাদের বিচার আচার (মামলা) আছে তারা আইনের সম্মুখীন হবেন। শেখ হাসিনাকেও দেশে ফিরতে হবে। তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার হবে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের বর্তমান অবস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি মনে করি যিনি মেয়র (এইচএম খায়রুজ্জামান লিটন) ছিলেন এমন পরিস্থিতির জন্য তিনিই দায়ী। কারণ মেয়রের চেয়ার সবার। আমি যখন মেয়র হবো, তখন আমি সবার। আমি যখন রাজপথে আছি তখন বিএনপি। আমিও ১৮ বছর চালিয়েছি। আমি দুই-তিন ঘণ্টার বেশি কোনোদিন সিটি করপোরেশনে বসিনি। আমি ওই চেয়ারটাকে বলতাম ‘শয়তানের চেয়ার’। যতই বসা হবে ততই নিচে গরম হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে মাতৃভূমি বাংলাদেশ। তারপরে হচ্ছে আমাদের দল ও ব্যক্তি। কোনো ব্যক্তির কারণে দলে ক্ষতি হলে দলীয়ভাবে তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তারা খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ঝরে পড়বেন। আর যারা প্রকৃত ভালো নেতা তারা যে দলেরই হোক অবশ্যই হাইলাইট হবেন। নতুন প্রজন্ম একটা ভালো রাজনৈতিক লিডারশিপে আসছে। এটা আমাদের ও জাতির জন্য দরকার।
সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলনের বিষয়ে মিনু বলেন, আমাদের প্রায় ১ হাজার ১০০ এর মতো নেতাকর্মী বিভিন্ন মামলায় আটক হয়েছেন। আমাদের চারজন মারা গেছেন। নিহতদের পরিবারকে তারেক রহমান তার ফান্ড থেকে প্রতি বছর আর্থিকভাবে সহযোগিতা করবেন। এছাড়া অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। অনেকে পঙ্গু হয়েছেন।
তিনি বলেন, বিএনপির কোনো নেতাকর্মী যদি বিশৃঙ্খলা, চাঁদাবাজি ও ভূমি দখলের সঙ্গে যুক্ত হন তাহলে তাদের আইনের হাতে তুলে দিতে অনুরোধ জানাচ্ছি। ৫ আগস্টের পর থেকে বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতাকর্মীদের নাম ভাঙিয়ে যারা দখলদারিত্ব করেছেন তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। এতে বিএনপির কোনো নেতাকর্মীর সম্পৃক্ততা পেলে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজশাহী ব্রিটিশ কাউন্সিল দখলের প্রসঙ্গে মিনু বলেন, একটি মহল ১৫০ বছরের পুরাতন ব্রিটিশ কাউন্সিল ভূমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠান আমরা ধ্বংস করতে দেব না। কোনো অপশক্তিকে এটা দখল করতে দেওয়া হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী আবুল কাশেম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের সাবেক চিকিৎসক ডা. ওয়াসিম হোসেন প্রমুখ।